পৈশাচিক দুই হত্যা মামলার রায় আজ

প্রকাশঃ নভেম্বর ৮, ২০১৫ সময়ঃ ৮:৩০ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

dui sishuসিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজন ও খুলনায় চাঞ্চল্যকর রাকিব হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হচ্ছে রোববার।

এরমধ্যে শিশু রাজন হত্যার রায় ঘোষণা করবেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আকবর হোসেন মৃধা।

অপরদিকে শিশু রাকিব হত্যার রায় ঘোষণা করবেন খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিলরুবা সুলতানা।

রায় ঘোষণা উপলক্ষে প্রতিক্রিয়ায় রাজনের বাবা মাইক্রোবাসচালক শেখ আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমি এ ঘটনার বিচার দ্রুত চেয়েছিলাম। পলাতক কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলাম। দুটি দাবি পূরণ হলো। ছেলেকে তো ফিরে পাব না, তাই খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তিই আমাদের একমাত্র সান্ত¡না।’

গত ৮ জুলাই চুরির অপবাদে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন শেখপাড়ায় নির্যাতন করে হত্যা করা হয় সিলেটের জালালাবাদ থানা এলাকার বাদেয়ালি গ্রামের সবজি বিক্রেতা শিশু সামিউল আলম রাজনকে। লাশ গুম করার চেষ্টার সময় ধরা পড়েন একজন। নির্যাতন করার সময় নির্যাতনকারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দিতে ভিডিওচিত্র ধারণ করেছিলেন।

এ সময় পুলিশের বিরুদ্ধে আসামিদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করার অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশের গাফিলতির অভিযোগে জালালাবাদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম, এসআই জাকির হোসেন ও জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর হোসেনকে ২৫ জুলাই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের পর দাবি উঠেছিল দ্রুত বিচারের। ঘটনার এক মাস আট দিনের মাথায় ১৬ আগস্ট ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ৭ সেপ্টেম্বর মামলাটি বিচারের জন্য মুখ্য হাকিম আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরিত হয়। ২২ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগ গঠনের পর ১ অক্টোবর থেকে টানা নয় কার্যদিবসে সাক্ষ্য গ্রহণ হয়।

ঘটনার পরপরই পালিয়ে সৌদি আরবে চলে যাওয়া মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা হয় ১৫ অক্টোবর। তাঁর উপস্থিতিতে মামলার গুরুত্বপূর্ণ ১১ সাক্ষীর পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে টানা তিন দিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন।

খুলনার টুটপাড়ায় শরীফ মোটরস নামে মোটরসাইকেলের এক গ্যারেজে চলতি বছরের ৩ আগস্ট নির্যাতন করে রাকিবকে হত্যা করা হয়। ওই দিন বিকেলে মোটরসাইকেলের চাকায় হাওয়া দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত কমপ্রেসর মেশিনের নল ঢুকিয়ে তার মলদ্বার দিয়ে বাতাস ঢোকালে রাকিব গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং ওই দিন রাত ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নগরের টুটপাড়া কবরখানার পাশের ওই গ্যারেজের মালিক শরীফ, তাঁর সহযোগী মিন্টু এবং শরীফের মা বিউটি বেগমকে ক্ষুব্ধ জনতা পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। ঘটনার পরদিন রাকিবের বাবা মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে ওই তিনজনকে আসামি করে খুলনা সদর থানায় হত্যা মামলাটি করেন।

এরপর তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ৫ অক্টোবর বহু আলোচিত এই মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্কসহ বিচারিক সব কার্যক্রম শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/এনজে

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G